ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে সোশ্যাল মিডিয়া, এসইও, ইমেইল এবং মোবাইল অ্যাপের মতো চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্য ও পরিষেবা বিক্রি বৃদ্ধি করার জন্য প্রচারণা চালানোকে বুঝায়।
ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ব্র্যান্ডের প্রচার করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিংকে অনলাইন মার্কেটিংও বলা হয়।
উইকিপিডিয়া’র মতে, ‘ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা মিডিয়া ব্যবহার করে সম্পাদিত মার্কেটিংকে বুঝায়’।
মূলত, যদি একটি মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে ডিজিটাল মিডিয়া জড়িত থাকে, তবে তাই ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করার কথা ভাবছেন অথচ, digital marketing বলতে কি বুঝায় তাই যদি না জানি, তাহলে চলবে কিভাবে!
ব্যবসায় বিক্রি বৃদ্ধির প্রথম শর্তই হলো প্রচারণা, যতো বেশি প্রচার করা যাবে ততো বেশি পণ্যের বিক্রি হবে। বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ, আর এই ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া মার্কেটিংয়েও লেগেছে। ক্রেতা যেহেতু অনলাইনে সময় দিচ্ছে, তাই ব্যবসায়ীদেরকেও এখন ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে Digital Marketing এর দিকেই বেশি ঝুঁকতে হচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে ব্যবসায় প্রচারণার সর্বোত্তম মাধ্যম হলো এই ডিজিটাল মার্কেটিং।
আপনি যদি ব্যবসায়ী হন আর এখনো জানেন না digital marketing ki, তাহলে আপনি খুব শীঘ্রই একটি খারাপ ফলাফল হাতে পেতে যাচ্ছেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি, ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়, কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে নিন।
একনজরে সম্পূর্ণ আর্টিকেল
ডিজিটাল মার্কেটিং কি | What is Digital Marketing in Bangla
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বুঝায় ডিজিটাল কিংবা আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন মিডিয়ার সাহায্যে ইন্টারনেট/অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে কোনো পণ্য, সেবা কিংবা নিজের ব্যবসাকে বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া।
অর্থাৎ, নিজের ব্যবসা, পণ্য কিংবা যেকোনো ধরনের সার্ভিসের প্রচারের জন্য যখন অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় তখন তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে। বাজারে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করে কোনো পণ্য কেনার চেয়ে ঘরে বসে অল্প সময়ে নিজের পছন্দমতো জিনিস ক্রয় করাতেই মানুষ বেশি আগ্রহী হচ্ছে এখন। তাছাড়া, Digital Marketing শুধু সময় বাঁচায় এমন নয়, যাতায়াত খরচ, এবং শারীরিক কষ্টও লাঘব করে।
তাই, বর্তমান সময়ে আপনি যদি ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথাই ভাবতে হবে।
২০২২ সালে এসে আপনি যদি ট্রাডিশনাল মার্কেটিংয়ের পেছনে পড়ে থাকেন তাহলে, আপনার জন্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাটা খুব কঠিন হয়ে উঠবে।
এখানে বলে রাখা দরকার, মার্কেটিং অবশ্যই নিজের পণ্যের জন্য হতে হবে। অন্যের পণ্য নিয়ে মার্কেটিং করলে সেটিকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
Digital Marketing এর জন্য সেরা ১০ টি মাধ্যম
Digital marketing করার অনেকগুলো মাধ্যম, স্তম্ভ, প্লাটফর্ম বা প্রকারভেদ রয়েছে। আপনাকে শুধু আপনার কোম্পানির ধরণ, পণ্য এবং বিজনেসের পরিধির বিষয়টি বিবেচনা করে প্লাটফর্মগুলো বেছে নিতে হবে।
আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে আমরা বর্তমানে জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান ১০ টি মাধ্যম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
একনজরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা ১০ টি উপায়:
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- গুগল এডওয়ার্ডস
- ইউটিউব মার্কেটিং
- মোবাইল এপস মার্কেটিং (গুগল এডমব)
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- মোবাইল মার্কেটিং
- রি-মার্কেটিং
1. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) | Search Engine Optimisation
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে SEO কিংবা Search Engine Optimization খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আপনার ওয়েবসাইটকে যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন (গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি) এর একদম সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে আসে।
মূলত ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কিংবা ভিজিটর বৃদ্ধি করাই হলো এই এসইও’র কাজ। মানুষ সাধারণত কোনো পণ্য (Product) ক্রয় করার পূর্বে গুগলে সার্চ করে সেই পণ্যের গুণাগুণ কিংবা প্রাইজ জেনে নেয়। আর গুগল কাস্টমার কিংবা সার্চকারীর সামনে সেই ওয়েবসাইটগুলোই নিয়ে আসে যেগুলো খুব ভালোভাবে এসইও অপটিমাইজড করা থাকে।
তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে ভালোভাবে এসইও অপটিমাইজড করতে পারেন তবে সার্চ ইঞ্জিনগুলো আপনার ওয়েবসাইটিকে একদম প্রথম পেইজে এনে দিবে। যার ফলে ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে আর সাথে সাথে আপনার পণ্য কিংবা সার্ভিসের প্রচার বাড়বে।
এসইও শেখার জন্য ফ্রি কোর্স রয়েছে, চাইলে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য এসইও শিখে আয় করতে পারেন।
2. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং | Social Media Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক মার্কেটপ্লেস হল এই সোশ্যাল মিডিয়া। আমরা সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করে সোশ্যাল Communication এর জন্য যে সাইটগুলো (যেমন; Facebook, Twitter, Instagram ইত্যাদি) ব্যবহার করি তাই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।
আর এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর সাহায্যে যখন কোনো পণ্য বা সার্ভিসকে প্রমোট করা হয় তখন তাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে।
বিশ্বের প্রায় সব মানুষই এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে প্রতিনিয়ত সক্রিয় থাকছে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার এতটাই জনপ্রিয় যে ছোট থেকে বড় প্রায় সব বয়সের লোকই এতে এক্টিভ থাকছে।
তাই যেকোনো ব্যবসায়ীর জন্য তার পণ্যকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে, যেকোনো বয়সের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এটি খুবই লাভজনক একটি প্লাটফর্ম।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের অনেকগুলো সাইট রয়েছে যেমন; ফেসবুক মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, ইনস্ট্রাগ্রাম মার্কেটিং, লিঙ্কডইন মার্কেটিং, পিনটারেস্ট মার্কেটিং, স্নাপচ্যাট মার্কেটিং ইত্যাদি সহ আরো কিছু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে আবার ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
- ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: এক্ষেত্রে বিভিন্ন সোশ্যাল যোগাযোগ সাইটগুলোতে ফ্রিতে পেইজ কিংবা গ্রুপ খুলে নিজের পণ্যকে শেয়ার করে প্রমোট করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন করেও এই কাজটি করা হয়।
- পেইড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: এক্ষেত্রে বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের সাথে কন্টাক্ট করে কিংবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াকে সরাসরি ডলার পে করার মাধ্যমে মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।
3. গুগল এডওয়ার্ডস | Google Adwords
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই গুগল এডওয়ার্ডস খুবই জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম। যেকোনো ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ এ প্রবেশ করলে আপনি যে বিজ্ঞাপনগুলো দেখতে পান তার অধিকাংশই এই গুগল এডওয়ার্ডের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
গুগল এডওয়ার্ডের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য গুগলকে টাকা পে করতে হয়। গুগল নির্দিষ্ট একটি কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে এডওয়ার্ডের মাধ্যমে ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এভাবে গুগলকে টাকা পে করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজের পণ্যকে প্রমোট করতে পারবেন।
4. ইউটিউব মার্কেটিং | YouTube Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। মানুষ এখন টিভি দেখার চেয়ে ইউটিউবে যেকোনো ভিডিও দেখতেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
ইউটিউবে প্রায় সব ধরনের ভিডিও’ই পাওয়া যায়। এছাড়াও, নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ভিডিও দেখা যায় বলে মানুষ এই ইউটিউবকেই বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে।
আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্যকে প্রমোট করছেন। এক্ষেত্রে দুই উপায়ে এই কাজটি করা হয়ে থাকে।
- প্রথমত যেকোনো জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের সাথে চুক্তি করে ভিডিও তে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করানো হয়ে থাকে।
- গুগল এডওয়ার্ডের মাধ্যমে সরাসরি ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।
5. গুগল এডমব | Google Admob
মানুষের হাতে হাতে এখন মোবাইল ফোন। বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। আর এই মোবাইল ফোনের বদৌলতে মানুষের নানাবিধ সুবিধার কথা চিন্তা করে তৈরি করা হচ্ছে কতশত এপস।
মানুষের যেকোনো ধরনের এপসের প্রয়োজন পরলেই চলে যান গুগল প্লে স্টোরে, আর ডাউনলোড করে নেন নিজের পছন্দমতো এপস। তবে ব্যবসায়ীরাও কিন্তু থেমে নেই। নিজেদের পণ্যকে প্রমোট করতে তাঁরাও বেছে নিয়েছেন এই মোবাইল এপসগুলোকে।
আপনি এই মোবাইল এপসগুলোতে গুগল এডমবের মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের পণ্যকে প্রমোট করতে প্রদর্শন করাতে পারবেন বিজ্ঞাপন। এই মোবাইল এপসগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারবেন খুব সহজেই।
6. কন্টেন্ট রাইটিং | Content Writing
অনেক সফল ব্যবসায়ীই এই কন্টেন্ট রাইটিং অবলম্বন করে ডিজিটাল মার্কেটিং করছেন। আপনি যখন কোনো পণ্য কিনেন বিশেষ করে মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ, তখন কি করেন? নিশ্চয়ই গুগলে সার্চ করে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে নিয়ে তবেই ক্রয় করেন।
আপনিও আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে এই কাজটি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিজের কোম্পানির নামে একটি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ শুরু করে সেখানে সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পাবলিশ করে ব্লগটিকে জনপ্রিয় করতে পারলেই অর্ধেক কাজ হয়ে যায়।
এরপর নিজের প্রোডাক্টের রিভিউ লিখে সহজেই কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন আপনার পণ্য।
7. ইমেইল মার্কেটিং | Email Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হচ্ছে এই ইমেইল মার্কেটিং। বর্তমানে ছোট-বড় বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিজনেসের প্রসারের জন্য এই প্লাটফর্মটির উপর নির্ভর করছেন।
ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন বয়স এবং ক্যাটাগরির মানুষদের ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করতে হয়। যে প্রোডাক্ট বা পণ্যের মার্কেটিং করা হবে তার সম্পর্কে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে সুন্দর করে পণ্যটির গুণাগুণ তুলে ধরতে হবে। এরপর সংগ্রহকৃত ইমেইল এড্রেসগুলোতে ইমেইল পাঠাতে হবে।
এই পদ্ধতিতে নিজের পণ্যের প্রমোট করা খুবই কার্যকর। কাস্টমাররা আপনার প্রোডাক্টের গুণাবলী দেখে পছন্দ করলে আপনার প্রোডাক্টের বিক্রি বাড়বে।
8. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং | Affiliate Marketing
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর এমন একটি সিস্টেম যেখানে নিজের কোনো প্রডাক্টককে নয়, বরং অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্টকে প্রমোট করা হয়। এক্ষেত্রে অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্টকে নিজের পেইজ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রমোট করা হয়।
এভাবে অন্য কারো পণ্যকে প্রমোট করে যদি বিক্রি করতে পারেন তবে ঐ কোম্পানি থেকে আপনি কমিশন পাবেন।
9. মোবাইল মার্কেটিং | Mobile Marketing
নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন মোবাইলের মাধ্যমে করা হয় এই মার্কেটিং। বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে পারেন আপনি।
মোবাইলে এসএমএস (SMS), এমএমএস (MMS) সহ আরো বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। আর এই সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়েই আপনি টার্গেট কাস্টমারদের কাছে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে নিজের পণ্যকে প্রমোট করতে পারবেন।
10. রি-মার্কেটিং | Re-Marketing
রি-মার্কেটিং বলতে বুঝায় পুনরায় মার্কেটিং করা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কেনো পুনরায় মার্কেটিং করতে হবে?
রি-মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনার প্রচার করা বিজ্ঞাপন তাদের কাছেই যাবে, যারা পূর্বে আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেছিল।
এই রি-মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার পূর্ববর্তী কাস্টমারদের ট্র্যাক করতে পারবেন। এভাবে আপনার পণ্যের প্রচার বৃদ্ধি পাবে আর তার সাথে বাড়বে বিক্রি।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?
মার্কেটিংয়ের মূল লক্ষ্য কী তা নিশ্চয়ই জানেন! যি, পণ্য কিংবা সার্ভিসের প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রি বৃদ্ধি করে নিজের ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করাই হলো Marketing করার মূল লক্ষ্য।
এই প্রচারণার কাজ বিভিন্নভাবেই করা যায়। আমরা যদি সুদূর অতীতের দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো একদল ফেরিওয়ালা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পণ্যের প্রচারণার কাজটি চালাচ্ছেন।
আচ্ছা বলুন তো, ২০২২ এ এসে আপনি যদি সেই ফেরিওয়ালাদের উপরই নির্ভর করে থাকেন, তাহলে কি হবে?
নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন তো, ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে বাস করে আপনি যদি আদিকালের সেইসব উপায়ের উপরই নির্ভর করে থাকেন তবে আপনার ব্যবসার কেমন নাজেহাল অবস্থা হবে?
এরপর এই প্রচারণার কাজটি করা হয় টেলিভিশন কিংবা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে। জানেন নিশ্চয়ই, এই দুই মাধ্যমে একটা বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য লাখ খানেক টাকার প্রয়োজন।
আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করেন কিংবা নতুন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তবে একটা বিজ্ঞাপনের পিছনে এতো টাকা খরচ করা কি আদৌও সম্ভব?
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কথা বাদ দিলেও যদি মাঝারি একজন ব্যবসায়ীর কথা ভাবি, তাহলেও কি তাঁর পক্ষে এই বিজ্ঞাপনের পেছনেই এতো টাকা খরচ করা সম্ভব? উত্তরটা অবশ্যই না।
তাহলে কিভাবে করা যায় এই প্রচারণার কাজটি? যদি প্রচারণাই না করা যায়, তবে ব্যবসার উন্নয়নই বা কেমন করে হবে?
হতাশ হবেন না, এজন্যই এসেছে ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি খুব কম খরচেই এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে প্রচার করে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি খুব কম খরচ করেই নিজের পণ্য কিংবা বিজনেস প্রচার করতে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
তাছাড়া বর্তমানে মানুষ সোস্যাল মিডিয়াগুলোতে এতো বেশি সক্রিয় যে, আপনি ঘরে বসেই মূহুর্তের মধ্যে বিশ্বের সকল প্রান্তে আপনার পণ্য কিংবা সার্ভিসকে পৌঁছে দিতে পারবেন। এই অনলাইনের সুবাদে আপনি পণ্যের সঠিক কিংবা টার্গেট কাস্টমারও পেয়ে যাবেন ঘরে বসেই।
এতসব সুবিধার পরও আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন, ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবো! তাহলে বলবো চলুন Digital Marketing এর আরো কিছু সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা | Advantages of Digital Marketing
১। অল্প খরচ: খুব একটা পুঁজির প্রয়োজন পরে না। তাই ক্ষুদ্র, মাঝারি কিংবা বড় যেকোনো ব্যবসায়ী Digital Marketing করতে পারবেন। অর্থাৎ ক্ষুদ্র, মাঝারি কিংবা বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীদের জন্যই এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সমান সুযোগ রয়েছে।
২। কম সময় প্রয়োজন: খুব কম সময়ের মধ্যে প্রচারণার কাজটি করা যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই বিজ্ঞাপন সর্বত্র ছড়িয়ে পরে।
৩। সঠিক গ্রাহকের কাছে পৌছানো যায়: এলাকাভেদে নির্দিষ্ট ক্রেতাদের টার্গেট করে মার্কেটিং করা যায়। অর্থাৎ যে কাস্টমার যে ধরনের পণ্য পছন্দ করেন সেই ধরনের বিজ্ঞাপন তাঁর কাছে চলে যায়।
৪। ঘরে বসেই বিজনেস করা যায়: ঘরে বসেই যেহেতু ডিজিটাল টেকনোলজির সাহায্যে মার্কেটিংয়ের কাজটা করা যায়, তাই কারো কাছে যেতে হয় না। ঘরে বসেই অনলাইনে কাস্টমারদের থেকে অর্ডার পাওয়া যায়, তাই খুব সহজেই পণ্য বিক্রি করা যায়।
এতসব সুবিধার জন্যই ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা সবাই এই ডিজিটাল মার্কেটিংকে প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য বেছে নিচ্ছেন।
দিন দিন এই ডিজিটাল মিডিয়া বিস্তার লাভ করছে। বর্তমান এই সময়ে আপনি যদি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে আপনাকে Digital Marketing নিয়ে ভাবতেই হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং ও ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর পার্থক্য
ট্রাডিশনাল মার্কেটিং নাকি ডিজিটাল মার্কেটিং, কোনটাকে বেছে নিবেন? যদি আপনার মনে এখনও এধরনের দ্বন্দ্ব কাজ করে থাকে, তাহলে এদের পার্থক্যই সেই দ্বন্দ্ব দূর করবে আশা করছি।
১। পুঁজির পরিমাণ: ট্রাডিশনাল মার্কেটিংয়ে আপনার বেশি পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন পরবে। অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অল্প পুঁজিতেই আপনি মার্কেটিংয়ের কাজটি করতে পারবেন।
২। সময়: ট্রাডিশনাল মার্কেটিংয় একটা বিজ্ঞাপন প্রচার করতে আপনার অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন পরবে। অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই প্রচারণার কাজটি করতে পারবেন।
৩। সিলেক্টিভ গ্রাহক: ট্রাডিশনাল মার্কেটিংয়ে নির্দিষ্ট ক্রেতাদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নির্দিষ্ট বায়ারদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।
৪। মার্কেটিং এরিয়া: যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বে প্রচারণার কাজটি করা যায়, তাই এতে লাভও বেশি।
৫। যোগাযোগ: অনলাইন মার্কেটিংয়ে বায়ারদের সাথে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন | How to Start Digital Marketing
ইন্টারনেট মার্কেটিং শুরু করতে হলে এ বিষয়ে আপনাকে প্রথমে সঠিক ধারণা নিতে হবে। কোনো কিছু না জেনে এই সেক্টরে কাজ শুরু করাটা বোকামি হবে। আপনি চাইলে কাজ শুরু করতেই পারেন, তবে সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকবে।
তাই আমি বলবো, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করার পূর্বে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করে তবেই কাজে নামুন। তাহলে আপনি একদিন না একদিন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠবেনই।
এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে শুরু করবেন এই ডিজিটাল মার্কেটিং? আমরা আপনাদের সুবিধার্থে নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং করার বর্তমানে জনপ্রিয় ১০ টি উপায় তুলে ধরেছি। আপনি আপনার পছন্দমতো যেকোনো ২-৩ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে ফেলুন।
ভুলেও একসাথে সবগুলো সেক্টরে হাত দিতে যাবেন না। তাহলে নিজের কাছেই অনেক বেশি চাপ মনে হবে, ফলে আপনার অনীহা চলে আসতে পারে।
যেকোনো ২-৩ টা বিষয়, যেগুলো আপনার পছন্দ সেসবের উপর পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ করে আপনার ব্যবসা শুরু করে দিন। তবে পরবর্তীতে আপনি বাকি সেক্টরগুলো সম্পর্কেও জেনে নিতে পারেন। শেখায় তো বাধা নেই!
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত কি?
দিন দিন ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার দরুণ এটা হলফ করে বলা যায় যে, সুদূর ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং-ই হবে সফল ব্যবসায়ীদের জন্য সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।
ট্রাডিশনাল কিংবা প্রথাগত মার্কেটিংয়ে যেখানে অনেক বেশি পুঁজি লাগে, সেখানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে তেমন একটা পুঁজির প্রয়োজন পরে না।
বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির এতোটাই উন্নয়ন হয়েছে যে ব্যবসাক্ষেত্রেও এর প্রসার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ এখন প্রচলিত মার্কেটিং থেকে বের হয়ে Digital Marketing এর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
ছোট কোম্পানি থেকে শুরু করে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি সবাই এখন এই ডিজিটাল মার্কেটিংকেই বেছে নিচ্ছে। বর্তমানে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী এই অনলাইন মার্কেটিং করেই নিজেদের ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জন করছেন।
আপনিও যদি ডিজিটাল মার্কেটিংকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে এটি হবে আপনার জন্য সময়োপযোগী সেরা সিদ্ধান্ত। দিন দিন এই অনলাইন মার্কেটিংয়ের প্রসার এতো বেড়ে চলছে যে সুদূর ভবিষ্যতে এটি হবে সফল ব্যবসায়ীদের জন্য সেরা প্লাটফর্ম।
তাছাড়া বর্তমানে Digital Market এর ক্ষেত্র এতটাই বেড়ে চলছে যে বড় বড় কোম্পানিগুলো ডিজিটাল মার্কেটারদের পার্মানেন্টলি নিয়োগ দিচ্ছে। তাই এই মার্কেটিং সেক্টরে আপনার কাজের অভাব হবে না।
তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটার হতে আপনার বিশেষ কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। যেকোনো বিষয়ে একটু ভালোভাবে জেনে নিয়ে গড়তে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স | Digital Marketing Course
যদিও অনেকেরই প্রশ্ন যে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবো, তবে অনেকে আবার অনলাইন মার্কেটিংয়ের নাম শুনলেই ভাবেন অনেক কঠিন একটা বিষয়।
এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ডিজিটাল মার্কেটিং খুব একটা কঠিন কাজ নয়। যে কারো এই বিষয়ে আগ্রহ থাকলে খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন।
তবে এর জন্য নিজের আগ্রহ থাকার পাশাপাশি মার্কেটিংয়ের প্রতি ভালোবাসা কাজ করতে হবে। আপনি যদি মনের অনিচ্ছায় জোর করে এই ব্যবসাকে বেছে নেন তবে বিরক্ত হয়ে পড়বেন, সফল হতে পারবেন না।
আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নতুন হলে একজন ভালো মেন্টর কিংবা কোনো ভালো এবং বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে পারেন। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়।
বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে অনেক গাইডলাইন দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এর কথা বলা যায়, যেমন:
- বাংলায় অনলাইন কোর্স করার সাইট যেমন, বহুব্রীহি, ঘুড়ি লার্নিং, ইত্যাদি।
- ফ্রি অনলাইন কোর্স করার সাইট (ইংরেজিতে)
- Udemy Digital Marketing Course [১৩০ ডলার]
- Google Digital Marketing Course [Free+Certificate]
এছাড়াও ইউটিউবে Digital Marketing নিয়ে প্রচুর ভিডিও পাবেন। আপনি চাইলে যেকোনো ভালো ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব ভিডিও’র সাহায্য নিয়েও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জনপ্রিয় কিছু ব্লগ:
- Neilpatel
- Shoutmeloud
- Alexa Blog
- Ahref Blog
- Hubspot, ইত্যাদি।
Digital Marketing শেখার ইউটিউব চ্যানেল:
- Neilpatel
- Shoutmeloud
- Ahref Blog
তবে এক্ষেত্রে আপনার নিয়মিত চর্চা করার অভ্যাস করতে হবে। সর্বোপরি নিজের উদ্ভাবনী শক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে পারলেই আপনি একজন সফল Digital Marketer হতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে শেষ কথা
বর্তমানে প্রায় সব ব্যবসায়ীর কাছে ডিজিটাল মার্কেটিং হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় এবং পছন্দের একটা বিষয়। তবে শুধু ব্যবসায়ী বললে ভুল হবে, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবী প্রায় সবাই এটাকে নিজেদের ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করছেন।
এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে খুব একটা টেকনিক্যাল নলেজ কিংবা বিশেষ ডিগ্রির প্রয়োজন পরে না। যেকোনো বিষয়ে ভালো ধারণা থাকলেই চলে। বিধায় প্রায় মানুষই এটাকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।
আপনিও চাইলে এই ডিজিটাল মার্কেটি এর সুবিধা নিয়ে নিজের বিজনেস শুরু করে সফল হতে পারেন। তবে এর জন্য প্রয়োজন পরবে নিজের প্রচুর ইচ্ছাশক্তি আর Digital Marketing সম্পর্কে সঠিক ধারণা।
আমরা এই আর্টিকেলে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা, চাহিদা, ক্যারিয়ার ও শেখার উপায়, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আশা করছি, ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন, কিভাবে করবেন সেসম্পর্কে একটা ভালো ধারণা পেয়ে গেছেন। এছাড়াও, Digital Marketing নিয়ে যদি আপনাদের মনে এখনো কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমি আপনাদের সব কিছু পডেছি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে।এখন আমার একটা জিনিস ই মাথায় এখনো ডুলছে নাহ যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সারদের কি সুবিধা তারা কোর্স করে কিভাবে ক্লাইন্ট কে সাহায্য করবে কিভাবে টাকা উপার্জন করবে।আমার কথা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সারদের কিভাবে ইনকাম হয়।তারা ক্লাইন্ট এর কি কাজ করে থাকে ক্লাইন্ট তাদের কি কাজ দেয় এসব বিষয় নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। দয়াকরে আমার প্রশ্নের জবাব দিবেন।
দেখুন, ফ্রিল্যান্সার মানে কিন্তু শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট না। প্রত্যেক কোম্পানিই তার ব্যবসার প্রসারের জন্য মার্কেটিং করে থাকে। আর মার্কেটিং এর জন্য এখন ডিজিটাল মার্কেটিং বেস্ট অপশন। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোন উপায় এর উপর দক্ষ হলে আপনি সেই কোম্পানির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। আর এজন্য তারা আপনাকে হায়ার করবে, আর আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে কোম্পানি বা কোন পণ্যকে আরো অধিক মানুষের কাছে পৌঁছাবেন, এটাই হবে আপনার কাজ।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে বিভিন্ন কোর্স প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে। তবে এর মাঝে কিছু ভালো এবং কিছু সুযোগ সন্ধানী। আশা করি এই বিষয়গুলো নিয়ে আরো একটি ব্লগ লিখবেন। যাতে করে নতুন যারা আছেন তারা প্রত্যেকটা বিষয় সুন্দর ভাবে জানতে পারেন এবং সে ভাবেই সিধ্যান্ত নিতে পারেন। ধন্যবাদ
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে সাজেশন দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আর এসইও এর মধ্যে কোনটা শিখলে ভালো হবে বা কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ??
দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইংরেজি দক্ষতা ভালো থাকলে এসইও বেটার অপশন। বাংলা এবং বাংলাদেশ টার্গেট করে কাজ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ভালো হবে।